সংযোগসূত্র
আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত প্রতিকার চাইছি
অনুপ কুমার ঘোষ
পুরান ো সেই দিনের কথা
যতদূর মনে পড়ে ১৯৭৩ সালের প্রথম দিকে আমি সবে স্কুল, কলেজ, ইউনিভারাসিটির পড়াশোনা শেষ করে একটি শিক্ষকতার কাজ করছি এই রকম সময়ে খবরের কাগজে কানুনগো গ্রেড-১ পদে নিয়োগের জন্য অনার্সসহ স্নাতক উত্তীর্ণ অথবা স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ যুবকদের কাছ হতে আবেদন পত্র চেয়ে বিজ্ঞপ্তি জারী করেন ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর। পদটি গেজেটেড অফিসারের এবং বেতনক্রম ৩০০-৬০০। যোগদানের পর তিনটি ইনক্রিমেন্ট সহ ৩৩০ দেওয়ার কথাও ছিল।
যাই হোক বিজ্ঞাপন দেখে আমি একটি আবেদনপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কিসের চাকরী বা কি ধরনের কাজ করতে এবে কিছুই জানতামনা। এর কিছু দিন পর হুগলী কালেকটর অফিসে যথারীতি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার জন্যে ডাকা হয় আমাকে, পরীক্ষান্তে আবার স্কুলের পুরাতন চাকরী জীবনে ফিরে যাই।
বেশ কিছুদিন পর আলিপুর ডাইরেকটার অফিস হতে আসার নামে একটি চিঠি আমে সেখানে আমাকে ঝাড়গ্রাম বি Camp অফিসে UT Kgo-1 হিসাবে যোগ দিতে বলা হোল, অর্থাৎ UT মানে আন্ডারট্রেনী কানুনগো-১।
স্কুলে খবরটি জানিয়ে একটি ছোট বেডিং ও স্যুটকেস সঙ্গী করে আমার গ্রামের বাড়ী জামগ্রাম হতে সাইকেল নিয়ে পান্ডুয়া স্টেশনে পৌঁছলাম তারপর সেখান থেকে লোকাল ট্রেনে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছলাম। হাওড়া থেকে এবার খড়্গপুরগামী একটি ট্রেনে উঠে বসলাম৷ ঝাড়গ্রাম আগে কখনও যাইনি তবে জেনেছিলাম খড়্গপুর হতে বাসে বা অন্য ট্রেনে ঝাড়গ্রাম যাওয়া যায়।
খড়গপুর থেকে বাসে যাবার জন্য ঝাড়গ্রামগামী একটি বাসে উঠে পড়লাম, বাসের কনডাকটর জানালো ঝাড়গ্রামে পৌঁছতে পৌঁছতে রাত্রি নেমে যাবে। থামে খুব ভীড়, দাঁড়িয়ে আছি মনে নানা রকম চিন্তা হচ্ছে কোথায় যাচ্ছি কি অবস্থায় পড়ব রাত্রিবেলা ইত্যাদি। কি আর করাযায়, তবে মনে একটু জোর ছিল আমার এক দাদা তার বন্ধুকে দিয়ে ঝাড়গ্রামে একটি হোটেলে আমার থাকার ব্যবস্থা করেছিল।
বাস চলছে তো চলছেই আর দু হাত অন্তর থামছে। আর ধৈর্যে কুলোচ্ছে না। এই রকম সময় আমি হঠাৎই লক্ষ্য করি যে আমারই মতো একটি ছেলে এরকমই একটি ব্যাগ ও বিছানাপত্র নিয়ে যাচ্ছে আর মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকাচ্ছে ফলে আমার চোখও তারদিকে বারবার ফিরে ফিরে দেখছে, একটু একট মনে ভয়ও হচ্ছে। এইভাবে কয়েকবার দৃষ্টি বিনিময়ের পর দু'জনের পরিচয় হোল। জানলাম ওই ছেলেটিও B Camp অফিসে ট্রেনিং নিতে চলেছে নতুন চাকরীর আশায়। ছেলেটির নাম গোপাল রায়। কোলকাতার ছেলে রাতের বাসে ধৈর্য্য না রাখতে পেরে ও অনিশ্চয়তা এই সবের জন্য, আর যেতে ইচ্ছুক নয়। বাড়ি ফিরে যেতে চায়। গোপালকে দেখে আমার মনেও একটু সাহস এসেছে। তখন গোপালকে বললাম বাড়ি ফিরবে কেন? চল দুজনে যখন আছি তখন ঠিক পৌঁছে যাব নির্দিষ্ট জায়গায়।
আরও অনেকটা স্ট্যান্ডে যাওয়ার পর নির্দ্দিষ্ট জায়গার বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলাম। বাস স্ট্যান্ডে নেমে পথ চলতি কিছু লোককে B Camp এর কথা জিজ্ঞাসা করাতে কিছুই বলতে পারলো না। পরে কয়েকজন বলল ওই রিকশা দাঁড়িয়ে আছে। ওদের লোকেদের জিজ্ঞাসা করুন, হয়তো ওরা কিছু বলতে পারবে। ওদের জিজ্ঞাসা করাতে এদিক ওদিক মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে লাগল। ওই রাতে গ্রামের রাস্তায় আমাদের তখন কি অবস্থা, সারা দিনের ক্লান্তি। এমন সময় ওদেরই একজন বলল B Camp বলে একটি সেটেলমেন্টের অফিস আছে। একথা শুনে ধড়ে প্রান এল, আমরা একটু আশ্বস্ত হলাম কিন্তু সেই অফিসটি ওখান থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে আর অফিসটি তো তখন বন্ধ হয়েগেছে। শেষে দুজনে আলোচনা করে দাদার ঠিক করা হোটেলেই পৌছলাম। শান্তিনিকেতন হোটেলের মালিক বিনোদ আচার্য্য মশাই আমাদের রেশ খাতির করেই আহ্বান জানালেন। একটু পরে রাত ১০টা নাগাদ দাদার বন্ধু এসে আমাদের খোঁজ নিয়ে গেলেন। ততক্ষণে ঐ হোটেলে আরও বন্ধু স্বপন পাল ও আরও কয়েকজন সবার নাম মনে নেই এসে জড়ো হল।
ঝাড়গ্রামে হোটেলটি বেশ নাম করা। হোটেলের মালিক বিনোদ আচার্য্য অত্যান্ত সহৃদয় ব্যক্তি। নিজে ট্রেনে হকারি করে (চা বিক্রি) এত বড় হোটেলটি দাঁড় করিয়েছেন। গরীব মানুষদের অনেক সাহায্য করতেন, যত দরিদ্র লোক হোটেলে আসত দুপুর ১২/১টার পর বসিয়ে সবাইকে পাত পেড়ে খাওয়াতেন আনন্দ করে। হোটেলের বোর্ডারদেরও খুব যত্ন করে খাওয়াতেন। দারুণ খাওয়া দাওয়া ছিল। উনি নিজে সব দেখশুনা করতেন ২ ছেলে, রাধুদা আর ৪/৫ কর্মচারী নিয়ে হোটেল চালাতেন।
এবার আবার B Camp এর খবরে যাওয়া যাক। ঝাড়গ্রাম বি ক্যাম্প অফিসে ১৯/৪/১৯৭৪ মানে পরের দিন হাজিরা দিলাম। সেখানে বি ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ গিরিজা প্রসন্ন রায় আমাদের সঙ্গে দেখা করলেন, সকলের খবরাখবর নিলেন এবং কাজের গুরুত্ব আলোচনা করলেন। তারপর আমাদের ট্রেনার ক্ষিতীশ মাইতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন ও সঙ্গে একটা করে ডাইরি দিলেন যাতে আমরা প্রতিদিনের কাজকর্ম লিখে রাখতে পারি।
এরপর এখানে আর এস খতিয়ানের পূঙ্খানুপুঙ্খ পাঠ দেওয়া হয়। খতিয়ানের সঙ্গে খসড়া বই এবং প্লট ইনডেক্স কিভাবে তৈরি হয়। এখানে খতিয়ানের বিভিন্ন কলমে কি লেখা হয় সেগুলোও জানানো হয়। এগুলো সম্বন্ধে আমাদের বন্ধুরা সবই জানেন বলে আর বিশদে লিখছি না। এভাবে কয়েক মাস ট্রেনিং এর পরে আমাদের ঝাড়্গ্রাম থেকে মেদিনীপুর যাওয়ার জন্য অর্ডার হল।
এরপর ঝাড়গ্রাম ছাড়ার পালা। কিছুদিন থেকেই ঝাড়গ্রাম বড় প্রিয় হয়ে উঠেছিল। বড় বড় শাল গাছ আর সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের খুবই আকর্ষণ করত। তাই এখনো সুযোগ পেলেই মনে হয় ঝাড়গ্রাম চলে যাই।
মেদিনীপুরে পৌঁছেই প্রথমে থাকার জায়গা নিয়ে সমস্যা দেখা দিল। সারাদিন খোঁজাখুঁজি করে রাত দশটার সময় একটি ঘরের সন্ধান মিলল। ভর্তি পছন্দ নোংরা। আমরা জনা চরেক বন্ধু মিলে বেডিংগুলো খুলে শুয়ে পড়লাম। অত্যধিক ক্লান্তি ও পরিশ্রমে ঘুমিয়ে পড়লাম। কিন্তু রাত একটা নাগাদ প্রচন্ড গন্ডগোল চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেলো। আমাদের দরজায় প্রচন্ড আঘাত করার শব্দ। আমরা দরজা খুলে দেখি দুই ভাইয়ে সাংঘাতিক মারামারি করছে। দুই ভাইয়ের একজনের বিনা অনুমতিতে অন্য ভাই এই ঘরটি আমাদের দেওয়ার জন্য এতো গন্ডগোলের সৃষ্টি। অনেক লোকজন জড়ো হয়ে গেছে, তাদের বক্তব্য ঘরটি এখনই ছেড়ে দিতে হবে। অনেক বোঝানোর পর রাতটুকু থাকার অনুমতি মিললো।
পরেরদিন সকালে আমি, গোপাল রায় ও আরও ২ জন বন্ধু মিলে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে মেদিনীপুর শহরের বাইরে একটি ঘরের সন্ধান পাওয়া গেল। সেই বাড়িত চলে গেলাম। সেই বাড়ীতে তে একটি ছোট কুয়া ছিল আর তাঁর সঙ্গে ১টি ছোট বালতি লাগান ছিল, জল ছিল ১/৪ কিলোমিটার নীচে। এই জলেই সারাদিন সব কাজে ব্যবহার করা হত। প্রাত্যকৃত্য মাঠের মধ্যে ঝোপেঝাড়ে করতে হত। এইরকম কষ্ট সহ্য করতে না পেরে অন্যানা বন্ধুদের সহায়তায় মেদিনীপুরে ১টি হোটেলে জায়গা পেলাম এবং চলে এলাম।
এবার কাজের কথায় আসা যাক। এখানে যা যা শেখানো হতো সেগুলি হল মৌজা ম্যাপ তৈরীর কাজের নানান পদ্ধতি ও ঐ কাযের জন্য নানান যন্ত্রপাতির ব্যবহার, যেমন গান্টারস চেন, গুনিয়া, মেটাল স্কেল, সাইট ভেন, কম্পাস ইত্যাদি। এইসব কাজ শেখার পর আমাদের নিয়োগের সময় কি কারণে কোর্টে কেস চলায় নিয়োগ প্রক্রিয়া অনেক দেরী হয়, তারপর কোর্ট কেস মেটার পর ৮/১০/৭৪এ আমাদের নিয়োগপত্র মেদিনীপুর সেটেলমেন্ট অফিসে আসে। সেখান থেকে আমি কানুনগো-১ হিসাবে ঘাটালে জয়েন করি।
তবে সেদিনীপুরে থাকাকালীন সুকুমার ভট্টাচার্য, মানস সেনগুপ্ত, অশোক মিত্র, জাহেদার রহমান খান, লক্ষ্মণ ঘোষ, গোপাল রায় আমরা সকলে মিলে গান বাজনা ও হে চৈ করে মহানন্দে কাটিয়েছিলাম, সে সেই দিনগুাল ভোলার নয়। ঘাটালে এসে প্রথমে আমরা (গোপাল ও আমি) সার্কেল অফিসে জয়েন করলাম। তারপর আমাদের নিজ নিজ হল্কা ক্যাম্পে জয়েন করতে বলা হল। পরে অশোক মিত্র, জীবন মণ্ডল, অজয় দেবর্শমা, অমর চ্যাটার্জি, নির্মল মুখার্জী, শক্তি কুণ্ডু ও আরো অনেকে ঘাটালে এসে জড়ো হয়। এছাড়া দীপক গাঙ্গুলী, বাসু সাহা, রাধা কমল নাগ এরাও এসে যুক্ত হয়। আমার হল্কা ক্যাম্প হল মনসুকা, ঘাটাল শহর হতে ছ-সাত কিলোমিটার দূরে। প্রথমে নির্দিষ্ট আস্তানা না থাকায় নিজ নিজ প্রচেষ্টায় কখনো হলকা ক্যাম্পে, কখনো সার্কেল ক্যাম্পে রাত কাটাতে হতো। কিছুদিন এভাবে কাটার পর আমার অফিসের সমস্ত জিনিসপত্র অর্থাৎ সমস্ত টেবিল চেয়ার, বাক্স, মডিফায়েড -খতিয়ান, গান্টার চেন, ডিভাইডার, কম্পাস, মেটাল স্কেল ও আরও অন্যান্য জিনিসপত্র এবং হল্কা ক্যাম্পের হোর্ডিং সহ সার্কেল অফিস হতে আমার নিজ হল্কা ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে যাবার নির্দেশ দেওয়া হল। আমার সঙ্গে ১জন আমিন, ২ জন জে. এম, ১ জন পিওন ও ১ জন নাইট গার্ড নিয়ে মনসুকা হল্কা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দিলাম।
মনসুকা অফিসটি ছিল ঝুমি নদীর তীরে ১টি খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়ী। আমরা আসব বলে বাড়ীওয়ালা সামন্তবাবু বাড়ীর নিচে তলার ঘরটি গোবর দিয়ে ভাল করে নিকিয়ে রেখেছেন, মেঝেটি এখনও কাঁচা থাকায় আমরা জিনিসপত্র নিয়ে বাইরে অপেক্ষা করতে লাগলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর অফিসটি সাজানো হলো তিনটি ফোল্ডিং টেবিল ও চারটি ফোল্ডিং টিনের চেয়ার দিয়ে। বাইরে হল্কা ক্যাম্পের হোর্ডিং টি লাগাতে হল।
পরের দিন থেকে অফিসের কাজ শুরু হল। এখনো পর্যন্ত আস্তানা ঠিক না হওয়ায় আমি দোতলার ঘরটি আমার থাকার জন্য মালিকের কাছে প্রস্তাব রাখলাম, মালিক এককথায় রাজি হয়ে গেল। ঘরটি খুব সুন্দর। ঘরের ভিতর একটি চৌকি আছে। ঘরের পাশ দিয়ে ঝুমি নদী তিরতির করে বয়ে চলেছে। ঘরটি খুব পছন্দ হল। দুদিন বাদে বাক্স-বিছানা নিয়ে রাতে বিছানা পেতে আরাম করে ঘুমোতে গেলাম। ঘুমিয়েও পড়েছিলাম হঠাৎ মাঝরাতে ঘরের মধ্যে নানান শব্দ হচ্ছে, সারারাত ধরে ঘরের চালে ঘড় ঘড় শব্দ, চারপাশে খটাখট আওয়াজ। আমি প্রচন্ড ভয় পেয়ে যাই। টর্চ জ্বেলে চারিদিক দেখছি, কিছু দেখা যাচ্ছেনা অথচ নানা রকমের শব্দ হচ্ছে। সারারাত ঘুম হলনা। যাই হোক পরের দিন অফিসে গেলাম। অফিসে বসে আছি, গ্রামের দুয়েকজন বাসিন্দাও বসে আছেন। আমি তখন ঐ রাতের ঘটনা বলতে লাগলাম। আমার কথাগুলো শুনে ওরা বললেন ওটা কোন ব্যাপারই নয়, আমাদের এখানে মাটির ঘরে খড়ের চালে সব সময় ইঁদুর, পায়রা থাকে তাই ওদের খাবার জন্য সাপেরা প্রায়শই আসা যাওয়া করে। তাই ওই রকম নানান শব্দ হয়, এটা প্রায় প্রতি রাত্রিতেই রাতের বেলা ঘটে থাকে এতে ভয়ের কিছু নেই। এই সর্ব আলোচনা করতে করতে ওসের ই একজনে দেখালেন আমাদের অফিস ঘরের চালে বিভিন্ন জায়গায় মোটা কয়েকটি সাপ ঝুলছে। ওরা বললেন এতে কোন অসুবিধা নেই, ওরা ওদের মত থাকে কারো কোন ক্ষতি করে না, আমার অফিসের লোক গুলিও এই কথাগুলি সমর্থন করল। এই সাপগুলো দেখে আমার কেবল মনে হতে লাগলো এই বুঝি ঘাড়ের ওপর লাফিয়ে পড়ল আর কেবল মাথায় ঘুরছে কখন অফিস থেকে পালাবো। ঘটনাচক্রে সেদিন আমাদের সেটেলমেন্ট অফিসার স্বপন চক্রবর্তী মশাই ঘাটালে আসেন এবং আমাদের সঙ্গে মিটিংএ বসেন। আমাদের সব বন্ধুদের নিয়ে ১টি রেস্টুরেন্টে এই মিটিং হয়। আমাদের কাজকর্মের সব খবরাখবর নিতেন, আমাদের সুবিধা অসুবিধা সব খোঁজ খবর নিতেন, খাওয়া দাওয়া হোত। এই রকম আলোচনা চলা কালীন আমার পালা আসলে আমি ওখানে আমার ওই ঘটনার কথা জানালাম। কথাগুলি শোনা মাত্র উনি মৌখিক অনুমতি দিলেন যে আমি আমার হল্কা ক্যাম্পের এরিয়ার মধ্যে যেকোন জায়গায় পাকা বাড়ি দেখে আমার অফিস স্থানান্তরিত করতে পারি, ওনার কোন আপত্তি নেই এবং সমস্ত খরচাও দেওয়া হবে। আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। এবার হল্কায় ফিরলাম নতুন ঘরের সন্ধানের জন্য। এরপরে রাধাকাল নাগের প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর মেসও তৈরী করি ঘাটালের বকুলতলায়।