top of page

কানুনগো বা QANUNGO.

কানুনগো হলেন রাজস্ব কর্মকর্তা। মুগল আমলে প্রত্যেক পরগণার যে পাঁচজন করে রাজস্ব কর্মকর্তা ছিলেন তাঁদের অন্যতম এই কানুনগো। দাক্ষিণাত্যে কানুনগোরা পরিচিত ছিলেন "দেশপান্ডিয়া" নামে। তখন কানুনগোদের কাজ ছিল পরগনার রাজস্ব আদায়, এলাকার পরিসংখ্যান, স্থানীয় রাজস্ব-হার, রীতি, প্রথা প্রভৃতি সংরক্ষণ ও হিসাবরক্ষা। বাদশাহী প্রশাসনকে রাজস্ব ও এলাকার অঙ্ক যোগান দিতে হত কানুনগোদের। আমিন এই অঙ্ক নির্ধারণ করে কানুনগোর কাছে পেশ করতো। সেই তথ্যাদি কানুনগো পরীক্ষা করে তাতে সই করতো। রাজস্ব আদায়ের কাজে গোমস্তারা ঠিকঠাক নিয়ম মেনে চলছে কিনা তা দেখভালের দায়িত্ব ছিল কানুনগোদের। বাদশাহের ফরমান ছিল কানুনগোরা "চাষীবন্ধু" হিসেবে কাজ করবে। বাদশাহী আদেশনামায় বলা ছিল যে এই পদের প্রধান উদ্দেশ্য হল সবচেয়ে বেশি রাজস্ব নির্ধারণ (জমা এ কামিল ও আকমল) তৈরির কাজে সাহায্য করা।

সাধারণত এই পদ ছিল পারিবারিক। তবে এর জন্য প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই বাদশাহী সনদ ছিল আবশ্যিক। আবুল ফজলের লেখা থেকে জানা যায় আকবরের আগে কানুনগোরা আদায়ীকৃত রাজস্বের এক শতাংশ পেত ভাতা হিসেবে। আকবর এসে কানুনগোদের বাঁধা মাইনের ব্যবস্থা চালু করেন। প্রত্যেক পরগণায় একজন করে কানুনগো সাধারণত থাকতো, কিন্তু কাশ্মীরে কানুনগোর সংখ্যা এতটাই বেশি ছিল যে প্রত্যেক গ্রামে বেশ কয়েকজন সম- দায়িত্বের কানুনগো ছিল, এদের বলা হত কানুনগোইয়ান এ জুজভ।

চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত তো বটেই তার পরেও ছিল এই কানুনগো পদের অস্তিত্ব ১৯৮৯ পর্যন্ত। ১৯৮৯ সালে ওই পদের নতুন নাম হয়ে রাজস্ব আধিকারিক। আমরা গর্বিত যে সে এই ঐতিহাসিক পদের একজন হিসেবে আমরা দাবী করতে পারি।


 

সংযোগসূত্র সার্ভে টিম

ফিল্ড ইন্সট্রাক্টরঃ বৈদ্যনাথ সেনগুপ্ত

ফিল্ডবুক রাইটারঃ সমীর ভট্টাচার্য

ফিল্ড সুপারভাইজারঃ রামচন্দ্র ঘোষ ও আশীষ সরকার

bottom of page