top of page

বৈদ্যনাথ সেনগুপ্ত

আমি বৈদ্যনাথ সেনগুপ্ত ১৯৭৪ এপ্রিলের ব্যাচ। ২০১২  সালের ৩০ শে এপ্রিল অবসর নিই। বাড়ী কলকাতার নাকতলাতে। অবসরের পর থেকে পেনশন ভোগী বেকার।9830134740 মোবাইল নম্বর।

baidyanath.jpg

চাকরি জীবনের অভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে জহর এর কথা মনে পড়ে গেল। জহর আমার ছেলেবেলার বন্ধু যদিও বয়সে আমার চাইতে বেশ কিছু বড়। আমাদের ছোটবেলার কলোনী এলাকায় বেশ কিছু বাপে খ্যাদানো মায়ে তাড়ানো ছেলে ছিল যারা পাড়া তো বটেই বেপাড়া তে গিয়েও গৃহস্থের ফল মূল ফুল চুরি করে আন ত। জহর ছিল সবার চাইতে এককাঠি উপরে। দুষ্টুমি তে জুড়ি নেই, দশাসই চেহারা, শাম্মি কাপুরের ভক্ত জহর যখন কবি কই মুঝে জংলি কহে বলে হরির পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে এপার ওপার করত তখন সেই দৃশ্য পাড়ে দাঁড়িয়ে মুগ্ধ বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখতাম। ফলচুরি, ফুলচুরি র অবিসংবাদিত নেতা জহর চুরির সামগ্রী ভাগ বাটোয়ারা করত সমান ভাগে, কেউ একটুও কম বা বেশী পাবে না। এই জহর আমার প্রাণ বাচিয়ে ছিল। ভর দুপুরে মোষ তাড়া করেছিল। দিগ্বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে ছুটেছিলাম। হঠাত এক বলিষ্ঠ হাত এক ঝটকায় আমার হাত ধরে গোটা শরীর টাকে বুকে টেনে নিল। জহর!!!!। বেশিদিন আর এক পাড়াতে থাকি নি। তারপর বহুদিন দেখা হয় নি। কানুনগো র চাকরি পাবার পর দেখা হল ট্রেনিং এ যাবার আগের দিন বাঁশদ্রনি বাজারে। প্রথমে চিনতে পারি নি, ও চিনেছিল। ডিম বিক্রি করতে বসেছে। সেই চেহারা আর নেই। হাউ হাউ করে কেঁদে উঠল জহর আমার হাত ধরে। বাবা মা মারা গেছেন, যে ভাইটাকে বহু কষ্টে মানুষ করেছে, নিজে বিয়ে করে নি কিন্তু ভাইয়ের বিয়ে দিয়েছে সে ভাই ওকে বের করে দিয়েছে, কোন সম্পর্ক রাখে না। শরীর খুব খারাপ, প্রায় ই পেটে প্রচণ্ড যন্ত্রনা হয়। পয়সার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারে না ঠিকমত। সেইদিন মনে মনে ভেবে ছিলাম ওকে মাঝে মাঝে কিছু টাকা দেব। ট্রেনিং পিরিয়ডে যা পেতাম তা থেকে কিছু দেওয়া সম্ভব ছিল না, চাকরির প্রথম মায়না র টাকাটা নিয়ে জহর এর খোঁজে চলে গেলাম বাঁশদ্রোনি বাজারে যেখানে ও ডিম বিক্রি করত। পেলাম না। জায়গাটা ফাঁকা। পাশের দোকান দার কে জিজ্ঞেস করাতে বললেন ও তো মরে গেছে কদিন আগে। পেটে জল জমে গেছিল। প্রথম মায়না পকেটে নিয়ে গলায় একটা বোবা কান্নার দলা নিয়ে ফিরে এলাম।

 

 আমার ট্রেনিং হয় তমলুকে। কলেজের গণ্ডি ছাড়াতে না ছাড়াতেই চাকরি টা পেয়ে গেলাম। বাড়ির লোকজনের চাকরি তে যোগদানের প্রশ্নে বেশ দোনা মনা ছিল। কিন্তু পারিবারিক প্রয়োজন তো বটেই, সামাজিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও কলকাতা ছাড়ার জন্য অনেক টা অনুঘটকের কাজ করেছিল। আসলে যে সময়টা আমি বা আমরা চাকরি তে যোগ দিই সেই সাতের দশক টা আমাদের অনেকের কাছেই ছিল একদিকে স্বপ্ন পূরণের সম্ভাবনা আবার পাশাপাশি স্বপ্ন ভঙ্গের যন্ত্রণার কাল। সেরকম উথাল পাথাল সময়ে তমলুকে যাওয়া। চাকরি জীবনের সবচাইতে সুখের সময় টা বোধ করি ট্রেনিং এর সময় টা। বেশ কিছু সমমনস্ক সাথী জুটে গেল যাদের কারো কারো সাথে বয়সের কিছু ব্যবধান থাকা সত্বেও বেশ আপনজনের মত হয়ে গেল অচিরেই এদের কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ এখনও অটুট। আবার অনেকেই পরবর্তীকালে কোথায় হারিয়ে গেল জানা নেই। এরকমই ছিল অনঙ্গ দা, সত্য প্রামাণিক আর অশোক সেন। প্রথমজন মুর্শিদাবাদের কোন কলেজে, দ্বিতীয়জন ব্যাংকে ট্রেনিং পিরিয়ডে এই চাকরি ছেড়ে চলে যায়। অশোকের সাথে বন্ধুত্ব ছিল সবচাইতে বেশি।কৃষ্ণনগরের ছেলে, একেবারে আমার বয়সি। আবহাওয়া দপ্তরে চাকরি নিয়ে চলে যায়। ওর বাবা নিতে এসেছিলেন। যাবার সময় অশোক ডুকরে কেঁদে উঠেছিল। আর ছিল শিহরণ, শিহরণ বোস, ব্যারাকপুরের ছেলে । আর এক ট্রেনি দীপক বোসের জিগরি দোস্ত। ও এ জি বেঙ্গলে চাকরি পেয়ে চলে যায়।

 

 ট্রেনিং পর শুরু হল প্রকৃত চাকরি জীবন। হল্কা জীবন দিয়ে শুরু। বদলী এক নৈমিত্তিক ব্যাপার। আজ এখানে তো কাল এখানে। সকালে যাকে কানুনগো র চেয়ারে দেখছে মানুষ বিকেলে তিনি নেই, অন্য একজন সেখানে বসে। কে জি ও র নাম ই হয়ে গিয়েছিল কোথায় গেল অফিসার? যাই হোক সবার মত আমার জীবনেও বদলির খাঁড়া যথেষ্ট ঝুলেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ নাই বা দিলাম। আমার উপর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের "কল্যাণ হস্ত"কোনোদিনই তেমন ছিল না, এর প্রতিফলন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ঘটেছে, সেগুলিও উল্লেখ করলাম না। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন শাখা তে কাজ করেছি। সবচাইতে চ্যালেঞ্জিং এবং সমস্যাসঙ্কুল মনে হয়েছে বি এল & এল আর ও র কাজ করা। প্রায় টানা বারো বছর বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ব্লকে কাজ করেছি। অভিজ্ঞতা হয়েছে মানুষ সম্পর্কে, গ্রাম বাংলা সম্পর্কে, সমাজ সম্পর্কে। অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় শিক্ষক তো আর কেউ নেই,এই চাকরি, এই ভূমি দফতর অনেক অভিজ্ঞতা দিয়েছে আমাদের।আমার চাকরি জীবন অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে রয়েছে আমার সমিতি। আমার ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন আমার সামাজিক জীবন প্রায় সবটাই প্রত্যক্ষ ভাবে বা পরোক্ষ ভাবে সমিতি প্রভাবিত। আমার আনন্দ, দুঃখ, হতাশা,মান, অভিমান, বঞ্চনা সব নিয়েই তো আমি! অথচ এখানে খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেগুলি লিখব না। সুব্রতদা, সুব্রত মুখার্জী কে আমরা প্রায় সবাই চিনি। প্রথিত যশা সাহিত্যিক, প্রয়াত। রসিক, পৌর্ন মাসী প্রভৃতি বিভিন্ন সাহিত্য কর্মের স্রষ্টা । আমাদের দপ্তরে এস এল আর এস ক্যাডার এ অনেকদিন ছিলেন। সেই সুব্রত দার বাড়িতে গিয়েছিলাম আমি আর দীপক বসু। উদ্দেশ্য দুটি বই আখ্যান ভূমি এবং প্রত্যয় ভূমি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া। বই দুটি নির্মাণে আমার কিছু ভূমিকা ছিল এবং আখ্যান ভূমি তে তাঁর একটি লেখাও আছে। সেই সুব্রত দা সেদিন অনুরোধ করলেন আমায় মেমোয়ার্স লিখতে। কুণ্ঠা সহকারে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। পরে একদিন অসুস্থ শরীরে ফোন করে একই অনুরোধ করলেন। সেটাই আমার সাথে তাঁর শেষ কথা। দুদিন পরে তিনি প্রয়াত হলেন। তাঁর মৃত্যু কালিন অনুরোধ রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলাম,অনেক টা লিখেও ফেলেছি কিন্তু একপাশে সরিয়ে রেখেছি, শেষ করি নি।আমার ব্যক্তি গত মান,অপমান, দুঃখ দিয়ে অন্য কে ভারাক্রান্ত করতে চাইব কেন? সেগুলি না হয় একান্ত ভাবে আমারই থাক। তাই ক্ষমা করবেন সুব্রত দা!"বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভাল, ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়"। প্রসঙ্গন্তরে চলে গেলাম। অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে চাকরি জীবন শেষ করেছি। এই জীবনে সবচাইতে বড় প্রাপ্তি আমার সহকর্মী বন্ধুরা।২০০৭ সালে অত্যন্ত অসুস্থ হই। ছাব্বিশ ঘণ্টা অজ্ঞান ছিলাম হাসপাতালের বেডে। বন্ধুরা এক সেকেন্ডের জন্যেও বাড়ীর লোকজনকে ছেড়ে যান নি, যথাসাধ্য এমন কি সাধ্য কে অতিক্রম করে পাশে দাঁড়িয়েছে। এখনও অনেকের সাথেই যোগাযোগ রয়েছে। এখনও নিজেকে সচল রাখি নানা ভাবে, সুযোগ পেলেই মিটিং মিছিলে পা মেলাই। আর হ্যাঁ, এখনও স্বপ্ন দেখি বৈকি! বিরাট বিস্তীর্ণ মাঠ, গোলপোস্ট পোঁ তা রয়েছে। আমি বা আমরা গোল করতে পারি না ঠিকই, কেউ না কেউ এসে একদিন ঠিক গোল করে দেবে।

 

 তমলুক বা পরে মেদিনীপুর শহরে ট্রেনিং বেশ উপভোগ করেছি। তমলুক এ নাটক করেছিলাম সবাই মিলে আমাদের ট্রেনিং ইনচার্জ সুধন্য মণ্ডলের উৎসাহে। জোছন দস্তিদারের দুই মহল। অমর চ্যাটার্জি অসাধারণ অভিনয় করেছিল। ওর অভিনয় ওই প্রথম দেখি। বিদ্যুৎ পাল চৌধুরি এক রাঁধুনির চরিত্রে, দীপক বোস এক প্রেমিকের চরিত্রে এবং বিশ্বাস করুন, আমি এক গুণ্ডার চরিত্রে। আমার জীবনের শেষ অভিনয়। তারপর কেউ আমাকে ডাকে নি যদিও সেদিন অভিনয় টা খারাপ করি নি। সবচাইতে আকর্ষণীয় এবং মজাদার চরিত্র টি ছিল খগেন আমাদের খগেন্দ্রনাথ কাঁড়ার,পরবর্তীকালে বিশ্বাস। প্রথম দিন সবাই বসে আছি, আমার পাশে ছিল খগেন। কালো গায়ের রং কালো ফুলপ্যান্ট, সাদা ফুল শার্ট, হাই পাওয়ার চশমার আড়ালে উজ্জ্বল দুটি চোখ। খুব গম্ভীর মুখে জিজ্ঞেস করল দেখে তো মনে হচ্ছে ক্যাল কাটা, আপনি কি পারবেন? আমি _চাকরি করতে এসেছি, পার তে তো হবেই। আপনার বাড়ি কোথায়? খগেন _ক্যালকাটা। আমি _কলকাতার কোথায়? খগেন -- এই ধরুন সাউথ ক্যালকাটা আমি _সাউথ ক্যালকাটা র কোথায়? খগেন -এই ধরুন বেহালা। আমি _বেহালার কোথায়? খগেন -এই ধরুন আমতলা। আমি - আমতলার কোথায়? খগেন _এই ধরুন বিষ্ণুপুর। আমি __আর কত ধরবো? এবার বলে ফেলুন। জানা গেল ওর বাড়ি বিষ্ণুপুর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে বড় গগন গোয়ালিয়া তে। অবশ্য আমি আর খগেন আরও অনেকের সাথে শেষ অবধি টিকে গিয়েছিলাম। এমনি ভাবে বেশ হাঁসি মজার মধ্যে ট্রেনিং এর দিনগুলি শেষ হল। বাস্তবিক পক্ষে ট্রেনিং এর দিনগুলিতে জীবনের জটিলতাগুলো তেমন ভাবে আঁকড়ে ধরতে পারে নি।

ট্রেনিং পর শুরু হল প্রকৃত চাকরি জীবন। হল্কা জীবন দিয়ে শুরু। বদলী এক নৈমিত্তিক ব্যাপার। আজ এখানে তো কাল এখানে। সকালে যাকে কানুনগো র চেয়ারে দেখছে মানুষ বিকেলে তিনি নেই, অন্য একজন সেখানে বসে। কে জি ও র নাম ই হয়ে গিয়েছিল কোথায় গেল অফিসার? যাই হোক সবার মত আমার জীবনেও বদলির খাঁড়া যথেষ্ট ঝুলেছে, তার বিস্তারিত বিবরণ নাই বা দিলাম। আমার উপর ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের "কল্যাণ হস্ত"কোনোদিনই তেমন ছিল না, এর প্রতিফলন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে ঘটেছে, সেগুলিও উল্লেখ করলাম না। বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন শাখা তে কাজ করেছি। সবচাইতে চ্যালেঞ্জিং এবং সমস্যাসঙ্কুল মনে হয়েছে বি এল & এল আর ও র কাজ করা। প্রায় টানা বারো বছর বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ব্লকে কাজ করেছি। অভিজ্ঞতা হয়েছে মানুষ সম্পর্কে, গ্রাম বাংলা সম্পর্কে, সমাজ সম্পর্কে। অভিজ্ঞতার চেয়ে বড় শিক্ষক তো আর কেউ নেই,এই চাকরি, এই ভূমি দফতর অনেক অভিজ্ঞতা দিয়েছে আমাদের।আমার চাকরি জীবন অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িয়ে রয়েছে আমার সমিতি। আমার ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন আমার সামাজিক জীবন প্রায় সবটাই প্রত্যক্ষ ভাবে বা পরোক্ষ ভাবে সমিতি প্রভাবিত। আমার আনন্দ, দুঃখ, হতাশা,মান, অভিমান, বঞ্চনা সব নিয়েই তো আমি! অথচ এখানে খুব স্বাভাবিক ভাবেই সেগুলি লিখব না। সুব্রতদা, সুব্রত মুখার্জী কে আমরা প্রায় সবাই চিনি। প্রথিত যশা সাহিত্যিক, প্রয়াত। রসিক, পৌর্ন মাসী প্রভৃতি বিভিন্ন সাহিত্য কর্মের স্রষ্টা । আমাদের দপ্তরে এস এল আর এস ক্যাডার এ অনেকদিন ছিলেন। সেই সুব্রত দার বাড়িতে গিয়েছিলাম আমি আর দীপক বসু। উদ্দেশ্য দুটি বই আখ্যান ভূমি এবং প্রত্যয় ভূমি তাঁর হাতে তুলে দেওয়া। বই দুটি নির্মাণে আমার কিছু ভূমিকা ছিল এবং আখ্যান ভূমি তে তাঁর একটি লেখাও আছে। সেই সুব্রত দা সেদিন অনুরোধ করলেন আমায় মেমোয়ার্স লিখতে। কুণ্ঠা সহকারে উড়িয়ে দিয়েছিলাম। পরে একদিন অসুস্থ শরীরে ফোন করে একই অনুরোধ করলেন। সেটাই আমার সাথে তাঁর শেষ কথা। দুদিন পরে তিনি প্রয়াত হলেন। তাঁর মৃত্যু কালিন অনুরোধ রক্ষা করার চেষ্টা করেছিলাম,অনেক টা লিখেও ফেলেছি কিন্তু একপাশে সরিয়ে রেখেছি, শেষ করি নি।আমার ব্যক্তি গত মান,অপমান, দুঃখ দিয়ে অন্য কে ভারাক্রান্ত করতে চাইব কেন? সেগুলি না হয় একান্ত ভাবে আমারই থাক। তাই ক্ষমা করবেন সুব্রত দা!"বুকের ভেতর কিছু পাথর থাকা ভাল, ধ্বনি দিলে প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়"। প্রসঙ্গন্তরে চলে গেলাম। অনেক ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে চাকরি জীবন শেষ করেছি। এই জীবনে সবচাইতে বড় প্রাপ্তি আমার সহকর্মী বন্ধুরা।২০০৭ সালে অত্যন্ত অসুস্থ হই। ছাব্বিশ ঘণ্টা অজ্ঞান ছিলাম হাসপাতালের বেডে। বন্ধুরা এক সেকেন্ডের জন্যেও বাড়ীর লোকজনকে ছেড়ে যান নি, যথাসাধ্য এমন কি সাধ্য কে অতিক্রম করে পাশে দাঁড়িয়েছে। এখনও অনেকের সাথেই যোগাযোগ রয়েছে। এখনও নিজেকে সচল রাখি নানা ভাবে, সুযোগ পেলেই মিটিং মিছিলে পা মেলাই। আর হ্যাঁ, এখনও স্বপ্ন দেখি বৈকি! বিরাট বিস্তীর্ণ মাঠ, গোলপোস্ট পোঁ তা রয়েছে। আমি বা আমরা গোল করতে পারি না ঠিকই, কেউ না কেউ এসে একদিন ঠিক গোল করে দেবে।
 

সংযোগসূত্র সার্ভে টিম

ফিল্ড ইন্সট্রাক্টরঃ বৈদ্যনাথ সেনগুপ্ত

ফিল্ডবুক রাইটারঃ সমীর ভট্টাচার্য

ফিল্ড সুপারভাইজারঃ রামচন্দ্র ঘোষ ও আশীষ সরকার

bottom of page