সংযোগসূত্র
আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে দ্রুত প্রতিকার চাইছি
স্রষ্টাকে সৃষ্টির অভিযোগনামা // সুকান্ত কুমার দে
"শরীর শরীর কুসুম তোমার কি মন নাই" ।
শ্রদ্ধাভাজনেষু মানিকবাবু,
অভাগিনীর শতকোটি প্রনাম লইবেন । বক্ষ জোড়া অভিমান লইয়া অত্র পত্রের অবতারনা । আপনি রমনীরতনরূপ পুত্তলিকাকে অলক্ষ্য রজ্জুর টানে নৃত্য করাইতে অত্যন্ত দড় । তবে মনে রাখিবেন কাষ্ঠ পুত্তলিকাও কামনা বাসনা রহিত নহে । অত্র জীবনে বহু পুরুষ সিংহ দেখিয়াছি কিন্তু শশীমাষ্টার তুল্য একটিও পুরুষ মানুষ দেখি নাই । শিক্ষায়, জ্ঞানে,গরিমায়, আভিজাত্যে তিনি এতৎদেশীয় সমাজে শালম্লী বৃক্ষ সদৃশ । তিনি রূপে কন্দর্পকেও হার মানাইবেন । তাহা প্রতি যে কোন রমনীরই অনুরাগ জন্মাইতে পারে । সেই অনুরাগ বশে এই অভাগিনী যদি অমৃতভান্ডের মধু আহরন করিবার জন্য চিত্ত নিবেদন করিয়া থাকে তবে তাহাতে আপনার বীতরাগ হইবার কি উদ্দেশ্য থাকিতে পারে ?
অপরাধ লইবেন না,অত্র অভাগিনীর সন্দেহ হয় আপনার নিজ জীবনে দুঃখ,কষ্ট, সামাজিক অবক্ষয় দেখিয়া হয়তো প্রেম অধরাই থাকিয়া গিয়াছে অথবা কামনারহিত প্রেম দেখিবার সৌভাগ্য আপনার হয় নাই । তৎজন্য আপনি আমার হৃদয় উৎপাটিত প্রেমকে দেহজ কামরসে সিক্ত করিয়া আমাকে সমাজে কলংকিত করিয়াছেন । স্মরণে রাখিবেন যুগে যুগে রাধিকারাই কলংকিত হইয়াছে । শশীমাষ্টাররা কপট কৃষ্ণের মতন রমনী হৃদয়ে প্রেম অগ্নি প্রজ্বলিত করাইয়া দিয়া নিজেরা কাপুরুষের মতন আপন পত্নীর অঞ্চলতলে আশ্রয় লয় । সমস্ত স্খলন হইতে সুরক্ষিত বৃত্তের মধ্যে অবস্থান করেন । আর রমনীর প্রেমকে দেহজ প্রেম বলিয়া ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেন । তৎরূপ আপনিও এ অভাগিনীর প্রেমকে দেহজ কামাগ্নিতে পরিনত করাইয়া আমাকে এক কামপীড়িতা ব্যাভিচারিনীর পর্যায় নামাইয়া আনিয়াছেন ।
মানিকবাবু বলিতে পারেন এ অভাগিনীর প্রেমকে আপনি কি হেতু শরীরি প্রেম বলিয়া আমাকে সমাজে উপহাস ও অনুকম্পার পাত্রী করিলেন ? আপনার বলিষ্ঠ কলমের কাছে আরো কিছু মহত্তর দাবী পাঠকের মতন আমারও ছিল ।
ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন ।
ইতি
আপনার শ্রীচরনের দাসী
অভাগিনী চিরদুঃখিনী
॥ কুসুম॥